ফোসকার চিকিৎসা নিতে আসা নারী পর্যবেক্ষণে
সারা শরীরে বড় আকারের ফোসকার সঙ্গে জ্বর, ব্যথা ও সর্দি রয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় শরীরে ফোসকা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ষাটোর্ধ্ব এক নারীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
ওই নারীর বাড়ি সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে। তার সারা শরীরে বড় আকারের ফোসকার সঙ্গে জ্বর, ব্যথা ও সর্দি রয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান জানান, ওই নারীর শরীরে যে ফোসকা দেখা গেছে, তা মাঙ্কিপক্স কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিকে নমুনা সংগ্রহের জন্য জানানো হয়েছে। সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন যাচাইয়ে শুক্রবার (১০ জুন) চুয়াডাঙ্গায় আসার কথা রয়েছে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে ষাটোর্ধ্ব একজন নারী চিকিৎসার জন্য আসেন। তার বাম হাতের তালুতে তিনটি বড় আকারের ফোসকা দেখান। আগুনে পুড়ে এমন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি পিঠ, কোমর ও পাসহ সারা শরীরে অসংখ্য জায়গায় এমন ফোসকা আছে বলে জানান। ফোসকার পাশাপাশি তীব্র জ্বর, গায়ে ব্যথা ও নাক দিয়ে পানি ঝরছিল তার।
তিনি আরও বলেন, অতীতে কখনো রোগীর শরীরে এমন বড় আকারের ফোসকা দেখেননি। বিষয়টি সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমানকে জানানো হয়। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রাথমিকভাবে তাকে জ্বর ও ব্যথার ওষুধ দিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। বাড়ির আর কেউ যাতে তার সংস্পর্শে না আসেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।