ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে ১১ করণীয়
প্রত্যেকের সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন এবং প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে
দেশে ১ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভাজনিত প্রতিরোধযোগ্য লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন।
তবে শুধুমাত্র খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন এবং ওজন কমানোর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ও ন্যাশ প্রতিরোধ করা যায়।
বুধবার (৮ জুন) হেপাটোলজি সোসাইটি আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমনিারে ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধে ১১ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো—
১. প্রত্যেকের সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন এবং প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে।
২. দড়ি লাফ এবং সাইকেল চালানো শরীরচর্চার জন্য ভালো অপশন
৩. দুধ, ফল, শাক-সবজি খাওয়া বাড়ানো এবং চিনিযুক্ত খাবার, পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড এবং (ভাজা খাবার) ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ কমানোর মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ক্যালরি গ্রহণ কমাতে হবে
৪. শরীরচর্চা বাড়ানো যায়- এ রকম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল ও প্রশাসনিক ওয়ার্ডে খেলার মাঠ রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রতিটি শিশুকে খেলতে এবং অন্যান্য শারীরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে।
৫. মেইন রোডের পাশে বাইসাইকেল চালানো এবং হাঁটার জন্য আলাদা লেন তৈরি করা, যা স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি উভয়ের জন্য উপকারী হবে।
৬. গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অধিক স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি এবং লবণযুক্ত জাঙ্কফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করতে উৎসাহিত করতে হবে।
৭. প্রক্রিয়াজাত খাবারের পুষ্টিমান সঠিক রাখার জন্য (উদাহরণস্বরূপ, ট্রান্সফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি ও লবণ পরিহার) খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের অধীনে আনতে হবে।
৮. সফট ড্রিংকসের পরিবর্তে ফ্রেস ফলের জুস এবং পানিপানকে উৎসাহিত করতে হবে। ছোটবড় সবার জন্য পার্ক, খেলার মাঠ, স্কুল ও কর্মস্থলে পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে পুষ্টিমান এবং শক্তিমান (ক্যালরি) উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০. সকল চিকিৎসককে ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত পর্যাপ্ত জ্ঞান দিতে হবে। এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্টীর দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে তারা ন্যাশের ঝুঁকিতে না পড়ে।
১১. ব্যবহার ও প্রয়োগ কমানোর জন্য ‘FAT tax’ (চর্বি বা চিনি কর) ধার্য করার চিন্তা করা যেতে পারে।