চমেকে স্বজনদের আহাজারি, নিহত বেড়ে ৪৯
স্বজন হারানোনোর আহাজরি ও আহতদের আর্তনাদে চমেক হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোয় ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে অনেকে চলে গেছেন। ৭০ জন চিকিৎসাধীন। আর চারজন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। নেভানোর সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শনিবার রাত থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একে একে নিহত বেড়ে ৪৯ হয়েছে। স্বজন হারানোনোর আহাজরি ও আহতদের আর্তনাদে চমেক হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ অবস্থায় আজ সকালে অভিযানে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সেনাবাহিনীর ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য অভিযানে অংশ নেবেন।’
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা এখনো জানা যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হবে। কমিটিকে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, কনটেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামে বিপুল পরিমাণ কেমিক্যাল রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনো জানা যায়নি।