ডা. স্বপ্নীলের পিএইচডি অর্জন
হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের নতুন ওষুধ ন্যাসভ্যাক বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রী পান তিনি
মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালায়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)।
হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের নতুন ওষুধ ন্যাসভ্যাক এবং হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসজনিত লিভার রোগ বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য তাকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক স্বপ্নীল হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন ন্যাসভ্যাকের ফেইজ ১, ২ ও ৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রধান গবেষক হিসাবে কাজ করেছেন। তার গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে ওষুধটি এরই মধ্যে কিউবাসহ একাধিক দেশে রেজিষ্ট্রেশন পেয়েছে এবং বাংলাদেশেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওষুধটির রেসিপি অনুমোদন করেছে। অধ্যাপক স্বপ্নীল বাংলাদেশে উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেরও প্রধান গবেষক।
অধ্যাপক স্বপ্নীল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের সদ্য-সাবেক চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি জাপানের এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও মেটাবোলজি বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক এবং ভারতের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সেস, ঋষিকেশের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বোর্ড অব স্টাডিজের সদস্য। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিন-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ভাইরাল হেপাটাইটিস, এইচআইভি-এইডস, এসটিআই সংক্রান্ত স্ট্র্যাটেজিক এন্ড টেকনিক্যাল এডভাইজারি গ্রুপেরও অন্যতম সদস্য।
বিভিন্ন দেশী-বিদেশী বৈজ্ঞানিক জার্নালে অধ্যাপক স্বপ্নীলের ৩০০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি লিভার বিষয়ক ৫টি টেক্সট বই সম্পাদনা করেছেন যার প্রতিটি বিভিন্ন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক মেডিকেল প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করেছে। এগুলো হচ্ছে ‘লিভার: এ কমপ্লিট বুক অব হেপাটো-প্যানক্রিয়াটো-বিলিয়ারী ডিজিজেজঃ প্রকাশক: এলসেভিয়ের, প্রকাশকালঃ ২০০৯), ‘কম্প্রিহেনসিভ টেক্সট বুক অব হেপাটাইটিস বি’, ‘টেক্সট বুক অব হেপাটোগ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি’ ও ‘হেপাটোগ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি প্রেসক্রাইবার’ (প্রকাশকঃ জেপি ব্রাদার্স, প্রকাশকাল যথাক্রমে : ২০১০, ২০১৫ ও ২০১৬) এবং ‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ (প্রকাশকঃ ম্যাকমিলান পাবলিশার্স, প্রকাশকাল : ২০১২)।