ইচ্ছেপূরণে মুমূর্ষু ছেলেকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে বাবা
পদ্মা সেতু কারও কাছে জীবনের অন্তিম ইচ্ছা, এটা ভাবা যায়!
লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এক তরুণের পদ্মা সেতু দেখার আবেগঘন বর্ণনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন, ‘পদ্মা সেতু কারও কাছে স্বপ্নের, কারও কাছে গর্বের, কারও কাছে প্রেরণার, কারও কাছে দৃঢ় সংকল্প। কিন্তু কারও কাছে জীবনের অন্তিম ইচ্ছা, এটা ভাবা যায়?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, পদ্মা সেতু দেখা জীবনের শেষ ইচ্ছা— এমন আবেগঘন ঘটনাই ঘটেছে। গত বুধবার (২৫ মে) লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে থাকা এক তরুণ তার পিতার কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পদ্মা সেতু দেখার। কারণ আপনার-আমার মতো সেও সংবাদে দেখেছে, বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক স্থাপনার সেতু হিসেবে নান্দনিক সৌন্দর্যের আলোকরশ্মি ছড়ানো পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে শিগগিরই। কিন্তু ততদিনে জীবনের আলো নিভে যেতে পারে তার। হাসপাতালের আইসিইউতে শুয়ে মুমূর্ষু সন্তান তাই বাবা-মার কাছে শেষ আবদার হিসেবে বলেছে, মৃত্যুর আগে নিজের চোখে পদ্মা সেতু দেখতে চায় সে।’
তিনি বলেন, ‘সন্তানের শেষ ইচ্ছাপূরণের জন্য আইসিইউ-সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন পিতা। এরপর সেই অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে নিয়ে যান পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে। অ্যাম্বুলেন্সে শুয়েই পদ্মা সেতু দেখল অসুস্থ ছেলেটি।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘কী বলবেন এই ঘটনাটিকে? শুধুই কী কোনো তরুণের অন্তিম ইচ্ছা? নাকি গর্বিত বাংলাদেশকে দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা? হয়ত তার কাছে শেষবারের মতো বেঁচে থাকার প্রেরণার কারণও হতে পারে শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই পদ্মা সেতু।’
তিনি বলেন, ‘এই সেতু বাঙালি জাতিকে যেভাবে বিশ্বের বুকে গর্বিত করেছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা দিয়েছে, জুগিয়েছে সাহস ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়; ঠিক তেমনি আজ প্রতিটি সচেতন মানুষের মনে দৃপ্ত সাহস সঞ্চার করে এবং শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জয়ী হওয়ার অনুপ্রেরণার প্রতীকেও পরিণত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। জয় বাংলা!’