ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান শুরু ১৭ মে
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে ২৬ মে পর্যন্ত
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৭ মে থেকে চিরুনি অভিযান শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ অভিযান চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তিতে শনিবার (১৪ মে) ‘মিট দ্য প্রেসে’ একথা জানান তিনি।
ডেঙ্গুর জন্য থানার সামনে রাখা পুরনো গাড়িকে দায়ী করে মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি থানায় ফোন করলে তারা বলেন- ‘এগুলো মামলার আলামত, সরানো যাবে না’। আমি আদালতের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এখন ডিজিটাল যুগ, ছবি তুলে ভিডিও করে আলামতগুলো রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। এই গাড়িগুলো থেকে এডিস মশার উৎপত্তি হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকে, পানি জমে আর উৎপত্তি হয় এডিস মশার।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একাধিক কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাপস করেছি, নগরবাসীকে আমি আহ্বান জানাব, আপনারা তথ্য দিন। আমরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য র্যাপিড অ্যাকশন টিম করেছি। তথ্য দেওয়ার সাথে সাথে টিম চলে যাবে। আপনার বাসার আশেপাশে স্প্রে করবে, যাতে লার্ভা ও মশা দুটিই ধ্বংস হয়।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলতি সপ্তাহেই চিরুনি অভিযান শুরু হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘১০টা ১০ মিনিটে প্রতি শনিবার, নিজের আঙিনা করি আমরা পরিষ্কার। এটা আমরা করছি, আপনারাও করুন। সপ্তাহে একদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনারা পরিষ্কার করেন। শনিবারে ছুটির দিন, এই দিন অন্তত একটু নিজের আঙিনা পরিষ্কার করুন। করোনাভাইরাস কমেছে, আমরা ডেঙ্গু চাই না।’
ঢাকার যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতে প্রাইভেট কারের বদলে বাস চালু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকার প্রাইভেট স্কুল-কলেজের জন্য বাস চালু করতে হবে। বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আমরা লক্ষ্য করেছি, স্কুলের শিশুদের মধ্যে প্রাইভেট কারে একটা প্রতিযোগিতা চলে। শিশুরা বলাবলি করে, কার কী ‘কার’ আছে। এই প্রতিযোগিতার অবসান হবে। যার ফলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, স্কুল-কলেজের আশপাশের এলাকায় প্রাইভেট কারের জন্য যানজট লেগে থাকে। স্কুল বাস চালু করলে এই যানজটটুকু থাকবে না। আর স্কুল-কলেজ বাস চালু করলে আমি কথা বলে তাদের জন্য এই বাসগুলোর ট্যাক্স কমিয়ে দেব। তবুও আপনারা স্কুল বাস চালু করুন।’
শিশুদের নিরাপত্তার জন্য ব্যাগে ডিভাইস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘অনেকের মধ্যে একটা টেনশন থাকে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কার সন্তান কোথায় আছে, সেটি যেন বাসায় বসে মোবাইলে দেখতে পারেন, সেজন্য চিপ/ডিভাইস প্রত্যেক শিশুর ব্যাগে লাগিয়ে দেওয়া হবে।’