বিশ্বে ৩০০০ শয্যার হাসপাতাল চারটি, পঞ্চমটি হবে বিএসএমএমইউ
গত দুই বছরে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন
বিশ্বে মাত্র চারটি হাসপাতাল ৩ হাজার শয্যার রয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সুপার স্পেশালাইাজড হাসপাতালটি চালু হলে আমাদেরটিও এই কাতারে শামিল হবে। অর্থাৎ বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ হাসপাতাল হবে এটি।’
সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বিএসএমএমইউ শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে স্বাস্থ্যখাতকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। স্বাস্থ্যখাতে আগে ৮ হাজার ৩১২ চিকিৎসক ছিল। প্রধানমন্ত্রী এ সংখ্যাকে ২৫ হাজারের বেশিতে উন্নীত করেছেন। বিগত পাঁচ বছরে ২০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। আর গত দুই বছরে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন।’
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী করোনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সারা বিশ্বে ২৬তম রাষ্ট্রপ্রধান ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছেন। করোনার সময় তিনি স্বাস্থ্যখাতে ৪১ হাজার কোটি বরাদ্দ দেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে, স্বাস্থ্যখাতকে উন্নত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের চিকিৎসকদের নিপীড়ন করা হতো। তাদের নিপীড়নে একজন চিকিৎসক তো মৃত্যুবরণ করল। স্বাচিপ সেই অবস্থার মধ্যে ওঠে আসা সংগঠন। স্বাচিপ একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দিয়েছিলেন। অথচ সেই দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।’
স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।