৪২ বিসিএস থেকে ৫৩৯ চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ
৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে ৫৩৯ চিকিৎসককে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি
৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে ৫৩৯ চিকিৎসক এবং ৩৮তম বিসিএস থেকে ৩৪৪ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এক সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিএসসি জানায়, ৪২তম বিসিএস থেকে প্রথম শ্রেণির নবম গ্রেডে ও ৩৮তম বিসিএস থেকে ১০ম গ্রেডে ৩২০ ও ১১ নম্বর গ্রেডে ২৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএস উত্তীর্ণ চার হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি। সেখান থেকে ৪৩ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে ৩ হাজার ৯৫৭ প্রার্থীর নামে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
করোনার প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় (লিখিত টাইপ) ৩১ হাজার চিকিৎসক অংশ নেন। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ২২ জন।
এরপর করোনার কারণে কয়েক দফায় পেছানো হয় ৪২তম বিসিএসের ভাইভা। পরে চিকিৎসক নিয়োগ দ্রুত করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে পিএসসি। বিধিনিষেধের মধ্যেও সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কাজ চালিয়ে যায় তারা।
অন্যদিকে ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৯ হাজার ৮৬২ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪ হাজার ৫৪৬ জন। সেখান থেকে উত্তীর্ণ ২ হাজার ১২৯ প্রার্থীর নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পিএসসির সুপারিশ করা তালিকা থেকে ৭৫ জন বাদ পড়েন।