করোনা রোগীর জন্য জয়পুরহাট পেল ১০ আইসিইউ শয্যা

ডক্টর রিপোর্ট
2022-03-21 12:42:30
করোনা রোগীর জন্য জয়পুরহাট পেল ১০ আইসিইউ শয্যা

৫০ থেকে ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রস্তুত করা হয়েছে। এ মাসেই এগুলো চালু করা করা হবে।

রবিবার (২০ মার্চ) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আর্টিফিসিয়াল শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর জন্য ভেন্টিলেটর মেশিন, অটোমেটিক শিরিঞ্জ পাম্প মেশিন, কার্ডিয়াক মনিটর স্থাপনের ফলে এখানে পালস, প্রেসার, অক্সিজেন সেচ্চুরেশন এবং ইসিজি করা যাবে।

৬০ থেকে ৮০ লিটার পার মিনিটে অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়ার জন্য হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা স্থাপন, শ্বাসনালী পরিষ্কার করার জন্য সাকার মেশিন, শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখার জন্য বিপেপ ও সিপেপ, হঠাৎ বন্ধ হওয়া হার্টকে শক দিয়ে সচল করার জন্য ডিফিব্রিলেটর স্থাপন এবং প্রতিটি বেডের বিপরীতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, একটি ইয়ার ও একটি ভ্যাকিউম লাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন এমন রোগীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর বাইরের কোনো হাসপাতালে যেতে হবে না বলে জানান ডা. সরদার রাশেদ মোবারক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০ শয্যার কভিড ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রস্তুতে সরকারের বরাদ্দের পাশাপাশি স্থানীয় সহায়তায় প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ৫০ থেকে ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অবকাঠামোগত সুবিধা থাকায় একই জনবল দিয়ে ২০০৬ সালের ১৬ জুলাই ১৫০ শয্যা করা হয়। জেলার ১২ লক্ষাধিক মানুষের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হলেও পার্শ্ববর্তী নওগাঁর ধামুইরহাট, বদলগাছী উপজেলা, দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ রোগী জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

রোগীর কথা বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৩ টাকা। এখানে ১২তলা ফাউন্ডেশনে ৭তলা পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ৪০টি গাড়ি রাখার পাকিং বেজমেন্টসহ চারটি লিফ্ট, জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজি, রেডিওলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, ইমেজিং বিভাগ, মেল-ফিমেল সার্জারি বিভাগ, গাইনি অবসসহ ক্যান্টিন ও মেডিকেল স্টোর সুবিধা রয়েছে।

নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।

জেলা আধুনিক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রাজা চৌধুরী বলেন, ‘জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে সরকার ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবল পদায়নের পরই এটি পুরোদমে চালু হবে।’


আরও দেখুন: