টিকার লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক
করোনার টিকা প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণটিকা কার্যক্রম পরবর্তী করণীয় প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ (শনিবার) ১ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমরা ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। এটি অনেক বড় সফলতা।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল আমরা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে যেন টিকার আওতায় আনি। সে হিসাবে আমাদের সাড়ে ১১ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার কথা থাকলেও আমরা ১২ কোটি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করে ফেলেছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক লোক টিকা নিতে এসেছে। সব কেন্দ্রগুলোই লোকারণ্য। কোথাও কোনো সমস্যার কথা জানতে পারিনি। টিকা নেওয়ার আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত। পৃথিবীতে টিকা নেওয়ার অনীহা থাকলেও আমাদের দেশের মানুষ টিকাবান্ধব।’
তিনি বলেন, ‘টিকা দেওয়ার সংখ্যার দিকে আমরা ১০ম স্থানে আছি। বড় বড় রাষ্ট্রসহ ১৯০টি দেশ আমাদের চেয়ে পিছিয়ে। রাশিয়া, তুরস্কসহ অনেকের থেকে আমরা এগিয়ে আছি।’
এ সময় মন্ত্রী জানান, গণটিকা কার্যক্রম সফল হয়েছে। আরও দুদিন এ কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভয়ের কোনো কারণ নেই, আজকে ১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরও দেশে প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ টিকাকেন্দ্রে গণটিকা কাযর্ক্রম পরির্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ টিকাবান্ধব। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা যেসব দেশ টিকা পায়নি তাদের দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।’