ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্নে করণীয়
ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্নে করণীয়
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পায়ের যত্ন বলে আমরা আলাদাভাবে এখানে জোর দিয়ে থাকি।
পা শরীরের সবচেয়ে দূরবর্তী অঙ্গ। আমরা হাত বা মুখের যতটা যত্ন নেই, পায়ের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। অনেকের পক্ষে দিন অন্তত একবার ভালো করে পা পরিষ্কার করা হয়ে ওঠে না। ফলে পায়ে ইনজুরি বা বিভিন্ন রকম ক্ষত থাকলে তা থেকে জটিলতার সম্ভাবনা থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ পায়ে ডায়াবেটিসজনিত সবগুলো জটিলতায় দেখা দিতে পারে। যেমন- ডায়াবেটিসজনিত নিউরোপ্যাথি বা নার্ভের সমস্যা ও রক্ত চলাচলে সমস্যা। এ দুটি সমস্যায় ডায়াবেটিস রোগীদের হয়ে থাকে। অনেক সময় দুটি সমস্যায় এক সাথে হতে পারে।
শুধু হাসপাতালে এসে পা পরীক্ষা করা কোনো সমাধান নয়। নিয়মিত বাসায় কীভাবে পায়ের যত্ন যায়, তাও ডায়াবেটিস রোগীদের শিখে নেওয়া দরকার। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জানা দরকার কোন পা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে;
১. যে পায়ে রক্ত চলাচল কম, বোধশক্তি কম, আগে কোনো একটি ঘা বা ক্ষত হয়েছিল, কোনো অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে, কোনো স্ট্রাকচারাল ডিফরমিটি বা কোনো এনাটোমিকাল ডিফরমিটি আছে, সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
২. যে পায়ে গঠনগত কোনো ত্রুটি সেটা আছে যেমন- নখগুলো বাঁকা হয়ে থাকে, মোটা বা থিক নিল থাকে। জয়েনমরবিডিটিতে কোনো সমস্যা থাকে, জয়েন্ট মুভ করতে সমস্যা হচ্ছে, এ রকম হলে আমরা সেই পা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নেব।
৩. পায়ে উপরের ঝুঁকিগুলোর যেকোনো একটি থাকলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পরপর (৩ থেকে ৬ মাস) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক সবগুলো পরীক্ষা করে দেখার সাথে সাথে রোগীকে ডায়াবেটিস এডুকেশন বা ফুট এডুকেশন দেন।
পায়ের যত্নে করণীয়
১. পায়ের যত্নে প্রথমেই একটি আদর্শ জুতা পরতে হবে। অবশ্যই হাঁটার সময় জুতা ব্যবহার করতে হবে। খালি পায়ে কখনো হাঁটা যাবে না। বদ্ধ জুতা পরে হাঁটতে হলে অবশ্যই মোজা ব্যবহার করতে হবে। কারণ অনেক সময় জুতার ভেতর অনেক পয়েন্টেড এন্ড থাকে, যেগুলো পায়ের ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। মোজা অবশ্যই সুতি ও পরিষ্কার থাকতে হবে। প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করা যাবে না। পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে।