ছয় ঘণ্টা পর আবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডায়ালাইসিস সেবা চালু
দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ডায়ালাইসিস পুনরায় চালু হলো হাসপাতালে।
ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে আবার কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা শুরু হয়েছে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে পুনরায় এ সেবা শুরু হয়েছে। এর আগে কিডনি হাসপাতালে ২৩ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডর্স।
ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ হওয়ায় রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস প্রধান একটি উপায়। হঠাৎ করে এটি বন্ধ করে দেওয়ায় রোগীরা ঝুঁকিতে পড়েছেন। এত রোগী অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াও কষ্টসাধ্য। এ ছাড়া নিন্ম ও মধ্যবিত্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিসের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য। হাসপাতালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডায়ালাইসিস সেবা দ্রুত চালুর দাবি জানান তারা।
ডিএমপি মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, কিডনি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের প্রতিবাদে রোগীর স্বজনরা সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে তাদের বুঝিয়ে বললে তারা সড়ক ছেড়ে দেন। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই সড়কে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, স্যানডোর শুধু আমাদের হাসপাতালের রোগীদেরই ডায়ালাইসিস করে না, সব হাসপাতালেই তারা ডায়ালাইসিস করে থাকে। আমাদের কাছে তাদের কিছু বিল বকেয়া আছে, সেটিও প্রসেসিংয়ের মধ্যে আছে। এখন তারা রোগীদের জিম্মি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার তালা দিয়ে বন্ধ করে চলে গেছে। যে কারণে রোগীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে ১০ বছরের চুক্তিতে কিডনি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া শুরু করে স্যানডোর। প্রতি ডায়ালাইসিসে মাত্র ৪৮৩ টাকা দিতে হয় রোগীদের। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার। এই সুবিধায় বছরে ২৯ হাজার ৬০৯টি সেশনের (৪ ঘণ্টায় এক সেশন ধরে) অনুমোদন রয়েছে সরকারের। এরচেয়ে বেশি হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়।