জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-02-02 14:00:30
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ

সরকার ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করেছে

সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে সারা দেশে প্রথমবারের মতো আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস।

‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘মেধা-মননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সব মানুষের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সবার অঙ্গীকার।’

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের এই অধিকার পূরণকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন, যে সংবিধানে তিনি মৌলিক বিষয়গুলি যেমন— অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেখানে খাদ্যটাকেই সবচেয়ে বেশি তিনি গুরুত্ব দেন।’

সেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে এ দেশের গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এঁকেছিলেন। সেই স্বপ্নের আলোকে বাস্তবায়িত হয়েছে আওয়ামী লীগের ‘রুপকল্প-২০২১’ এবং এর বাস্তবায়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।’

ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটি বাস্তবায়ন হলে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি কমবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট একটি বিষাক্ত খাদ্য উপাদান, যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ডালডা ব্যবহৃত হয়।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জনসচেতনতায় বৃদ্ধির পাশাপাশি ভেজাল ও দূষণ বিরোধী কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করেছে। দেশ-বিদেশের সমন্বয়ে বেড়েছে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট।


আরও দেখুন: