মেডিসিন ক্লাবের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
মানবতার সেবায় ১৯৮১ সালের এই দিনে সামাজিক সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।
৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে মেডিসিন ক্লাব। মানবতার সেবায় ১৯৮১ সালের এই দিনে সামাজিক ও শিক্ষামূলক সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরিতে কয়েকজন বন্ধুর পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা মেডিসিন ক্লাবের ৩২টি ইউনিট এখন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কাজ করছে।
সংগঠনের কেন্দ্রিয় সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ প্রমিজ জানান, সংগঠনটির মাধ্যমে সামাজিক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চান তারা। একটি সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংক তৈরি করতে চান, যার মাধ্যমে যে কোনো রোগী উপকৃত হতে পারবেন। সংগঠনে নিবন্ধিত থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সরকারি চিকিৎসা নিশ্চিত ছাড়াও জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান প্রমিজ।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়ে প্রথম স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম শুরু করে মেডিসিন ক্লাব। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে নিবন্ধিত মেডিসিন ক্লাব দুই দশকের বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তের যোগান ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
বর্তমানে ক্লাবের মমেক ইউনিটে নিবন্ধিত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা ৪৬২ জন। সারা দেশে মেডিসিন ক্লাবের সবগুলো ইউনিটের অধীনে প্রায় ২ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে। রক্তের যোগানের পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ, স্প্লিনেকটোমি অপারেশন, হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে মেডিসিন ক্লাব।
করোনা মহামারীতে মেডিসিন ক্লাব নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার অসহায় পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করেছে। রাজধানীতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা চালু করেছিল মেডিসিন ক্লাব।