রাজধানীর সরকারি হাসপাতালের ৭৫ শতাংশ শয্যা খালি
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালের ৭৫ শতাংশ শয্যা খালি
রাজধানীতে সরকারি হাসপাতালের ২৫ শতাংশ শয্যা ভরে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফলে সরকারি হাসপাতালের ৭৫ শতাংশ এখনও শয্যা খালি আছি। তবে এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে বেডের চাহিদা বাড়বে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ সব তথ্য জানান।
সংক্রমণ বাড়লে সেই হারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে না উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর কারণ হচ্ছে টিকা নেওয়া। আমরা ৩১ কোটি টিকা পাব।
অনেক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যার ফলে হসপিটালাইজেশন কম হবে। আমাদের টার্গেটেড আরো ৩ কোটি লোক বাকি আছে। ট্রান্সপোর্ট, ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন সেক্টর বাকি আছে। তারা এগিয়ে আসেনি নেওয়ার জন্য। তাদের কীভাবে টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা বৈঠক করেছি।
হাসপাতালে রোগী যারা আসছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি এবং যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ১ থেকে ৩২ শতাংশে উঠেছে করোনা সংক্রমণের হার। এটা খুবই আশঙ্কাজনক। সংক্রমণ বৃদ্ধির আরেকটি কারণ বৈশ্বিক। সারাবিশ্বে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাংলাদেশেও। তবে একটা আশার খবর হচ্ছে ইউরোপে কমছে, ভারতে কমছে, তাদের আক্রান্তের সংখ্যা লাখ লাখ ছিল। এখন আস্তে আস্তে কমে আসছে।’
ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ যখন বেশি হবে তখন মৃত্যু বেশি হবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বাসার বাইরে মানুষ সেই ভাবে মাস্ক পরে না। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ওমিক্রন মাইল্ড হওয়ায় কথা চিন্তা করে আমরা যদি ইচ্ছে মতো চলাফেরা করি তাহলে আমাদের ক্ষতি হবে। আমাদের দেশ অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সবগুলো সূচকই ভালো আছে। আমরা যদি ফেল করি তাহলে সূচকগুলো ভালো থাকবে না।