আইসোলেশনের মেয়াদ কমিয়ে ১০ দিন করা সহ পাঁচ দফা সুপারিশ কারিগরি পরামর্শক কমিটির
বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের সুপারিশ আছে এতে
ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণে সরকারকে আইসোলেশনের মেয়াদ কমিয়ে ১০ দিন ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি
গতকাল রাতে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মো. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৩তম সভায় কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা শেষে সভায় পাঁচটি সুপারিশ করা হয়।
প্রথম সুপারিশে বলা হয়, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন। এ ছাড়া কোভিড-১৯ নিশ্চিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন—এমন ব্যক্তি, যাঁদের কোনো উপসর্গ নেই, তাঁদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। তবে তাঁদের টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
কমিটি বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশস্থলে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করে।
সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড, সব রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে কমিটি।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নে অংশীদের, যেমন পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতাসহ, সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশও আসে।
জনগণকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি । এ কাজে জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরা এবং অন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়।
গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাড়িয়েছে ২২৮ শতাংশে। গত ৭ দিনে শনাক্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৫ জন যা এর আগের ৭ দিনের তুলনায় ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ ছাড়িয়ে গেছে। এক দিনের ব্যবধানে নতুন রোগী বেড়েছে ১ হাজার ৯৩ জন।
এ পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এই পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে বলে জানান কমিটির সভাপতি।