জন্মনিয়ন্ত্রণের বহুল ব্যবহৃত যত পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রণের বহুল ব্যবহৃত যত পদ্ধতি
সাধারণত আমাদের দেশের মানুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলতে ওরাল পিল অর্থাৎ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িকেই বুঝে থাকে। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি একটা ব্যাপক এবং বিস্তৃত অধ্যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। আমাদের মতো জনবহুল দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ন। সবার জানাও খুবই প্রয়োজন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি। স্থায়ী পদ্ধতি আর অস্থায়ী পদ্ধতি। স্থায়ী পদ্ধতি সবাই যেটা মনে করে যে, বন্ধাকরণ অর্থাৎ মেয়েদের ক্ষেত্রে লাইগেশন আর পুরুষদের ক্ষেত্রে ভ্যাসেকটমি।
অস্থায়ী পদ্ধতি যেটা আছে সেটাও অনেক বিস্তৃত। অস্থায়ী পদ্ধতির মধ্যে পূর্বাতন পদ্ধতি, পূর্বাচল পদ্ধতি বা ন্যাচারাল পদ্ধতি যেটা আগেকার লোকজন ব্যবহার করতো। যেমন- আজল পদ্ধতি, ল্যাকটেশনাল অ্যামেনোরিয়া মেথড, টেম্পারাচার মেথড এইসব পদ্ধতি।
বর্তমানে যেসব পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, বেরিয়ার মেথড যেটা পুরুষরা কনডম ব্যবহার করা বুঝিয়ে থাকি। যদিও মহিলাদেরও কিছু কনডম থাকে। তারপরে আছে Intrauterine Contraceptive device-IUD (অন্তঃসত্ত্বা ডিভাইস-আইইউডি)। অর্থাৎ জরায়ুর ভিতর প্রতিস্থাপন করা যেটাকে সবাই কপারটি বলে থাকে।
যেটাকে বড়ি বলে থাকে আসলে এটা হরমোনাল মেথড। হরমোনাল বিভিন্ন রুটে ব্যবহার করা হয়। যেমন মুখে যেটা খাওয়া হয় সেটা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, যেটা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয় এটাও হরমোন কন্টাসেপ্টিভ এটা হচ্ছে ইনজেকশন।
আবার অনেক সময় হরমোনাল আইউসিডি অর্থাৎ জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। কপারটি এটাকে অনেক সময় অনেক দেশে এটাকে হরমোনাল পদ্ধতি হিসেবে বাতিল করে দেওয়া হয়। যেটা আরো বেশি দামি বা বেশি উন্নত দেশে পাওয়া যায়।
এছাড়াও আরো একটা মেথড আছে, যেটা ইমপ্ল্যান্ট বলে। এটা আমাদের মতো জনবহুল দেশে বেশি ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু ইমপ্ল্যান্ট অনেক দীর্ঘ মেয়াদী একটা পদ্ধতি এবং এটার অনেক ভালো দিক আছে।
এই কয়টাকেই আমরা মোটামুটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে থাকি। এছারাও কিছু কেমিক্যাল এজেন্ট আছে, যেগুলো আগে ব্যবহার করা হতো- জেলি, ন্যানোক্সিনল নাইন। কিন্তু এগুলোর কার্যকারিতা বেশি না থাকায় এসব পদ্ধতি এখন ব্যবহার করা হয় না (কেমিক্যাল মেথড)।
এখন বর্তমানে যেটা ব্যবহার করা হয় মেইনলি বেরিয়ার মেথড, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, কপারটি (আইইউসিডি) এবং ইমপ্ল্যান্ট এটাই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।