৭ দিন পর ফের আসছে বিধিনিষেধ
সাত দিনের মধ্যে বিধিনিষেধ জারি করা হবে
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সাত দিনের মধ্যে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যেখানে যানবাহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন এবং সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পিকনিক, বনভোজন, ওয়াজ মাহফিল, মসজিদে নামাজে যাওয়াসহ এই ধরনের সামজিক অনুষ্ঠান সীমিত করার কথা বলেছি।’
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে রেস্তোরাঁয় বসার জন্য টিকা কার্ড বাধ্যতামূলক করাসহ বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন ১৫ দিনের মধ্যে জারি করা হবে। এক দিনের মাথায় সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সাত দিনের মধ্যে বিধিনিষেধ জারির কথা জানালেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সোমবারের মিটিংয়ে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর করার কথা হয়েছিল। কিন্তু ১৫ দিন আসলে অনেক বেশি। এই সময়ের মধ্যে রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা আজ বলেছি সাত দিনের মধ্যে বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও একমত হয়েছেন।’
ঘরে-বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে জরিমানা আরোপের সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার জন্য বলেছি। হোটেল রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারবেন কেবল ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা। এই ক্ষেত্রে তাদের থাকতে হবে ভ্যাকসিন কার্ড। হোটেলে বসে খেতে হলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। শুধু খাওয়ার সময় মাস্ক খুলতে পারবে। মাস্ক না থাকলে ভোক্তা ও হোটেল মালিকের জরিমানা হতে পারে। যানবাহনে যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার চিন্তাও আছে।’
তিনি বলেন, ‘দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণের হার বেশি বেড়ে গেলে স্কুল চলবে কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। এখনো আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিইনি, সেই পরিস্থিতিও এখনো বিরাজ করছে না। অনেকে জিজ্ঞেস করেন, লকডাউন দেওয়া হবে কি না, আমরা এখনো সেই চিন্তা করছি না। যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পায়, তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি আমাদের বর্ডারগুলোতে স্ক্রিনিং আরও জোরদার করা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টানে যারা থাকবে, তারা যাতে বাইরে ঘোরাফেরা না করে, এ জন্য পুলিশি পাহারা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসি-এসপিদের বলা হয়েছে, তারা সরকারের নির্দেশনা যখন পাবেন, তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করেন।’