মাসে ৪ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগ
আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আগামী মাস থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি চালু হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার দুপুরের রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের শ্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে সরকারি ওষুধ প্রস্তুকারক প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ কম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ৩৮ তম বার্ষিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে সক্ষম হবো।’
তিনি বলেন, দেশে ইডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য বিডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মানের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ১ম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দেশে ওমিক্রনের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি বলেন, সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন অমিক্রণ ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই অমিক্রণ ছড়াবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মুখে মাস্ক পরারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সহ অন্যান্য বক্তারা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডিসিএল এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।