শহুরে ৬১.৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মানসিক চাপে

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-12-26 17:22:50
শহুরে ৬১.৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মানসিক চাপে

শহুরে ৬১.৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মানসিক চাপে

বাংলাদেশের শহর এলাকার ৬১.৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মানসিক চাপে ভুগছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, গত দুই বছরের মহামারী পরিস্থিতি তাদের স্বাস্থ্যকে আরও উদ্বেগজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

১৭ ডিসেম্বর স্প্রিংজার নেচার প্রকাশনার বায়োমেড সেন্ট্রাল (বিএমসি) সিরিজের জার্নাল অব হেলথ, পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশন-এ গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল গবেষণা নিবন্ধটি অনুমোদন দিয়েছে।

গবেষণার ফলাফলে উঠে আসে, দেশের শহরে থাকা কিশোর-কিশোরীদের ২৮.২ শতাংশ স্থূলতায় আছে, ৩০.৫ শতাংশ ঘর ও বাইরে এবং মাত্র ২.৭ শতাংশ সক্রিয় জীবনযাপন করছে।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ খাদ্যাভ্যাস, শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হারের (বিএমআই) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়াকর্ম স্থূলতা ও উচ্চ মানসিক চাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিশোরদের তুলনায় কিশোরীরা অনেক বেশি মানসিক চাপে ভুগছেন।

উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপে থাকা কিশোর-কিশোরীদের ২৮.৫ শতাংশ স্থূলতায় এবং ধূমপানকারীদের ৮.৩ শতাংশও এ তালিকায় আছে। যেখানে গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের কিশোর-কিশোরীদের ২০ শতাংশ মানসিক চাপে ভুগছে।

এছাড়া উল্লেখ করা হয়েছে, কিশোরদের ৫৩.৮ শতাংশ স্থূলতায় এবং ৫২.৫ শতাংশ মাঝারি থেকে চরম মাত্রার মানসিক চাপে ভুগছে। ঘর ও বাইরে জীবনযাপনকারীরা প্রায় আড়াই গুণ, খাদ্যাভ্যাস সমস্যায় আছে তারা দেড় গুণেরও বেশি এবং বিনোদনকেন্দ্রিক মানসিক চাপ থাকা কিশোর-কিশোরীরা ১.১৩ গুণ বেশি স্থূলতার ঝুঁকিতে আছেন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ৫০০এর অধিক শিক্ষার্থী আছে এমন ৩২টি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৪ হাজার ৬০৯ জন কিশোর-কিশোরীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৩ থেকে ১৯ বছর। এক্ষেত্রে ক্রোনিক রোগ যেমন অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীদের থেকে তথ্য নেওয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সহায়তায় বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন এ গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। গবেষণাটির প্রধান গবেষক ছিলেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. এস কে রায় এবং সঙ্গে আরও ছিলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) অধ্যাপক ড. নুরুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুমানা রইছ, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের খুরশিদ জাহান, আম্বিনা ফেরদৌস, সামিনা ইসরাত, ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রিজওয়ানুল করিম।


আরও দেখুন: