বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ আগুন লাগে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন হাসপাতালের কর্মীরা।

অগ্নিকাণ্ডে হাসপাতালের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন লাইনে বিস্ফোরণ হয়। সেখানে থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়। স্বজনরা বলছেন, আগুন আতঙ্কে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগুন লাগার সঙ্গে ওই রোগীর মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।

হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার জানান, আগুন আতঙ্কে সিসিইউতে থাকা রোগী ও স্বজনরা হুড়োহুড়ি শুরু করেন। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে সিসিইউতে ভর্তি রোগীদের পাশের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রনদী দাস (৬০) নামে রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার স্বজনরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় তার বাবা জীবিত ছিলেন। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি আর সাড়া দিচ্ছিলেন না। তখন পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন। আতঙ্কে তার মৃত্যু হতে পারে।

তবে সেলিনা আক্তার বলেন, ‘ওই রোগী আগে থেকেই মুমূর্ষু ছিলেন। দুর্ঘটনার এক ঘণ্টার বেশি সময় পর তার মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার সাথে এ মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।’

হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে কেউ হতাহত হয়নি। আগুন লাগার কারণ জানতে চিকিৎসক জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’