ওমিক্রনের উপসর্গ ‘সাধারণ ফ্লুর মতোই মৃদু’: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপসর্গ অনেকটা ‘সাধারণ ফ্লুর মতোই মৃদু’ বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ও সংক্রামক রোগ বিভাগের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
রবিবার ভার্চ্যুয়াল এক স্বাস্থ্য বুলেটিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে তিনি এমন দাবি করেন।
রোবেদ আমিন বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গ অনেকটা সাধারণ ফ্লুর মতোই মৃদু যার এখন প্রয়োগ করা টিকার সুরক্ষা ভেদ করা অনেকটাই অসম্ভব। সাধারণ ফ্লুর মতো জ্বর, স্বর্দি, গলা বা মাথা ব্যথা হতে পারে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। বালাদেশেও জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তবে শনাক্ত হওয়া জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যই সুস্থ আছেন।
ডব্লিউএইচও’র বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি বেশি সংক্রমক হলেও শারীরিক জটিলতা তেমন হয় না। যে টিকা দেওয়া হচ্ছে এর সুরক্ষা ভেদ করা অনেকটাই অসম্ভব।
তিনি বলেন, যে তথ্য-উপাত্তে পাওয়া গেছে, তাতে খুব সমান্য উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। অনেকটা এই ব্যথা অনেক বেশিও হতে পারে, তবে ফুসফুসে সংক্রমণ করার মতো পর্যায়ে যাওয়ার শক্তি নেই বলে মনে হয়।
রোবেদ আমিন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্যেও ওমিক্রনে মৃত্যু হওয়ার ঘটনা তেমন পাওয়া যায়নি।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে নমুনার নিয়মিত জিনোম সিকোয়েন্সিং হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, যখনই কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়, তখনই এর ইপিডিমিউলিজিক্যাল লিংক দেখতে হয়, এর জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হয়। সেটি নিশ্চিত করার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়।
সরকারের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ আইইডিসিআরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে বলে জানান তিনি।