মানুষ থেকে প্রাণীতে গেলে বাড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির ঝুঁকি

অনলাইন ডেস্ক
2021-12-05 19:43:15
মানুষ থেকে প্রাণীতে গেলে বাড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির ঝুঁকি

মানুষ থেকে প্রাণীতে গেলে বাড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির ঝুঁকি

মানুষ থেকে প্রাণীদেহে করোনা সংক্রমিত হলে ভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরির ঝুঁকি বাড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেসের গবেষক দল এমন দাবি করেছে।

বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, সম্প্রতি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের সাময়িকী ‘পিএনএএস’-এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

বিড়াল, কুকুর, নকুল ও ধেড়ে ইঁদুর জাতীয় প্রাণীকে সংক্রমিত করার পর করোনার রূপান্তরিত ধরনগুলো কেমন হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকেরা।

বিশ্বে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণী, চিড়িয়াখানার প্রাণী ও পোষা প্রাণীর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে দেখা যায়, এক প্রজাতির প্রাণী থেকে অন্য প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

বেশির ভাগ ভাইরাসের ক্ষেত্রে এভাবে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়ানোর ঘটনা বিরল। তবে কোভিড-১৯ বা সার্স কভ-২ ভাইরাস এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।

মুখ্য গবেষক ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্য প্রাণীর রোগসংক্রান্ত বিশ্লেষক এরিক গানি জানান, মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর সংস্পর্শে আসে। আর এর মধ্য দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীকে সংক্রমিত করার সুযোগ পেয়ে যায় ভাইরাসটি।

গবেষক লরা বাশর জানান, সাধারণত দেখা যায় ভাইরাসগুলো এক প্রজাতির প্রাণী থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়াতে পারে না। সুনির্দিষ্ট প্রজাতির মধ্যে তাদের সংক্রমণ সীমিত থাকে। কিন্তু সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতিকে আক্রান্ত করার সক্ষমতা রয়েছে।

গবেষক বোস্কো লোথ একে মানবদেহে করোনার নতুন ধরন সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গেই তুলনা করেছেন।

তিনি বলেন, যেসব মানুষের শরীর সার্স কভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ফেলে, তাদের শরীরে ভাইরাসটির রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি।

এ গবেষণার কাজে যে নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০২০ সালের শুরুর দিকে। গবেষকেরা দেখতে পান, তখন থেকে শুরু করে সার্স কভ-২–এর বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে।


আরও দেখুন: