বিবাহিতদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি

হাসান মাহমুদ
2021-12-01 19:39:10
বিবাহিতদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি

৬৭ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর

দেশে বিবাহিতদের মাঝে এইডস আক্রান্তের হার বেড়েছে। যাদের বেশিরভাগই পুরুষ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধদিপ্তর।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছরে (নভেম্বর ২০২০ থেকে অক্টেবর ২০২১) ৭২৯ জন এইচআইভি আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। যাদের ৬০.৪৪ শতাংশ বিবাহিত, ২৯.২১ শতাংশ অবিবাহিত, ৩.৩৩ শতাংশ বিধবা, ২.৫৯ শতাংশ ডিভোর্স প্রাপ্ত সহ ০.৩৭ শতাংশ ভবঘুরে।

যুবকদের শনাক্তের হার বেশি জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ৬৭ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর এবং ১৬ শতাংশের বয়স ১৯-২৪ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ পুরুষ এবং ২২ শতাংশ নারী এছাড়া তৃতীয় লিংগের জনশক্তিদের মধ্যে আক্রান্তের হার ২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইডি শনাক্ত হয়। এর পর থেকে প্রায় প্রতি বছর এই সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হলেও এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৬১ জনের এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২০১৯ সালে এক বছরে সর্বোচ্চ ৯১৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল। এছড়া গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে ৬৫৮ জন হলেও এবছর তা দাঁড়িয়েছে ৭২৯ জনে।

গত বছরের তুলুনায় মৃত্যের সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪১ জন, সেখানে এ বছর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৫ জনে। এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত এক বছরে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩১২ জনের এইচআইভি টেস্ট ও ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৭ জনের ব্লাড স্ক্রীনিং হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন (২৬ শতাংশ), রোহিঙ্গা ১৮৮ জন (২৬ শতাংশ), বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন (২০ শতাংশ), ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন (৮ শতাংশ), নারী যৌনকর্মী ১৭ জন সমকামী ৬৭ জন (৯ শতাংশ), পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন (৭ শতাংশ), ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন (২ শতাংশ) বলে জানানো হয়েছে।

গত ১ বছরে আক্রান্ত ৭২৯ জনের মধ্যে চিকিৎসা সেবার (এন্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি) আওতায় এসেছেন ৬৪২ জন। দেশের ১১ টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা (এন্টি রেট্রোভাইরাল ড্রাগ) দিচ্ছে সরকার। এছাড়া ২৮ টি সরকারি হাসপাতালের এইচআইভি টেস্টিং সেন্টার থেকে বিনামূল্যে এইচআইভি টেস্ট করা হচ্ছে।

 


আরও দেখুন: