বিনামূল্যে এইডস রোগীর চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সরকার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
দেশে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সরকার বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। এইডস এর সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবারের বিশ্ব এইডস দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এবারের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমতার বাংলাদেশ, এইডস ও অতিমারী হবে শেষ’।
এইডস রোগের চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অন্যান্য রোগের ন্যায় এইডস এর পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে দিচ্ছে। দেশের ১১টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীরা বিনামূল্যে সরকারি এই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। করোনার এই সংকটকালেও সরকার এইডস রোগীদের পরীক্ষা কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে।’
ভবিষ্যতেই এইচআইভি টেস্টিং কার্যক্রম দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল সম্প্রসারণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন জাহিদ মালেক।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. খুরশীদ আলম, পরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) ও লাইন ডাইরেক্টর টিবি-লেপ্রোসী ও এইডস/এসটিডি প্রোগাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% নিচে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ সংক্রমণ কিছুটা বেশি।
দেশে বর্তমানে সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০০। দেশে গত ১ বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন (২৬%), রোহিঙ্গা ১৮৮ জন (২৬%), বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন (২০%), ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন (৮%), নারী যৌনকর্মী ১৭ জন (২%), সমকামী ৬৭ জন (৯%), পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন (৭%), ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন (২%)।