শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম শাহাদাতবার্ষিকীতে তার সমাধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে ও টিএসসি সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন চত্বরে (নিঝুম স্মৃতিস্তভে) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের পরিবারবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় অন্যদের মধ্যে বিএমপি সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, উপাচার্যের পিএস-২ সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডা. মিলন ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গুলিতে নিহত হন।

তার রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতি পায়। পরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।