শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ
ডা. মিলন ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গুলিতে নিহত হন।
আজ ২৭ নভেম্বর ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস’। চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম শাহাদাতবার্ষিকী।
ডা. মিলন ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গুলিতে নিহত হন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পেশাজীবী দল ও সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আওয়ামী লীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে ও টিএসসি সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন চত্বরে (নিঝুম স্মৃতিস্তভে) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের পরিবারবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতি পায়। পরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।