মৃগী রোগের চিকিৎসায় ইনস্টিটিউট হবে

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-11-24 16:14:29
মৃগী রোগের চিকিৎসায় ইনস্টিটিউট হবে

গর্ভবতী যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা প্রসবের সময় মায়ের অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়, তাহলে শিশুর মৃগী রোগ দেখা দিতে পারে

মৃগী রোগের চিকিৎসায় দেশে আধুনিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মৃগী রোগ চিকিৎসার গাইড লাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিউরো সমস্যায় যারা পড়েন তাদের জন্য নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট তৈরি করা হয়েছে। নাক, কান গলা ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। আমরা মৃগী রোগের সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্যও আধুনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে কাজ করব।’

দেশে ২০ লাখ অটিস্টিক শিশু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মৃগী রোগ নিয়ে গ্রামে এক সময় অনেক ভুল ধারণা ছিল। বলত, ভুতে ধরেছে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি এখন প্রমাণিত যে, গর্ভবতী যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা প্রসবের সময় মায়ের অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিলে শিশুদের মধ্যে মৃগী রোগের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রায় ৪ লাখ শিশু আজও নিউরো ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। তাদের সুস্থতার জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করা দরকার। চিকিৎসার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। সরকারেরও এ বিষয়ে সহায়তায় এগিয়ে আসা দরকার। যে গাইডলাইন করা হয়েছে, সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে মৃগীরোগ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিলে ৭০ ভাগ মৃগীরোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি মানুষ মৃগী রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৮ দশমিক ৪ জন আক্রান্ত। সেই হিসাবে এদেশে প্রায় পৌনে ১৪ রাখ মৃগীরোগী রয়েছেন।

বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মৃগীরোগী উন্নয়নশীল, মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশে। তবে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিলে ৭০ ভাগ মৃগীরোগী ভালো হয়ে যায় বলে মনে করেন গবেষকরা।

সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট অফ বাংলাদেশ মৃগীরোগীদের চিকিৎসায় গাইডলাইন তৈরি করেছে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেল কোরাইশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা) আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ প্রমুখ।


আরও দেখুন: