ফাইজারের করোনার পিল আনার উদ্যোগ নেবে সরকার
ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক পিল প্যাক্সলোভিড বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে সরবরাহ করতে পারবে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকরা।
ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার পিল তথা বড়ি দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া বলে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেলে ওষুধটি আনা হবে বলে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে মার্কিন কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিকের যৌথভাবে তৈরি করোনার পিল ‘মলনুপিরাভির’ দেশে পাওয়া যাচ্ছে।
ফাইজারের তৈরি ‘প্যাক্সলোভিড’ বাংলাদেশে আনা হবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ওষুধটি যদি এফডিএ, ডব্লিউএইচও অ্যাপ্রুভড হয়, তাহলে তা ব্যবহারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগে রেমডিসিভির নিয়েছি। সবশেষ মলনুপিরাভিরও উৎপাদন করছি। এটাও (প্যাক্সলোভিড) যদি ভালো পর্যায়ে চলে আসে, তাহলে আমরা তা অবশ্যই নেবো।’
‘আমাদের কোম্পানিগুলোও সেই সুযোগ নিশ্চয়ই নেবে। এ ব্যাপারে আমরাও সব ধরনের সহযোগিতা করবো’ বলেন জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ তৈরি করা শুরু করেছে স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা।
ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে সরবরাহ করতে পারবে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকরা।
আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গোষ্ঠী মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে লাইসেন্স ভাগাভাগির জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের ‘সাব-লাইসেন্স’ দিচ্ছে মার্কিন কোম্পানিটি।
এই ৯৫টি দেশের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ওষুধটি বিক্রিতে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে বেশ কম দামে ওষুধটি মিলতে পারে।