করোনার টিকা ও ভবিষ্যৎ মহামারী নিয়ে ৫ দফা ড. মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকাদানের জন্য একটি সময়-বাঁধা কর্মসূচি গ্রহণ এবং ভবিষ্যৎ মহামারী ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরিসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেনের ডাকা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বুধবার ড. মোমেন এ সুপারিশ করেন।
প্রথমত, অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন ব্যবধান দূর করার জন্য অর্থায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যৎ মহামারী প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য লৈঙ্গিক ও ভৌগলিক ভারসাম্যপূর্ণ একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে নির্বাচিত বিশ্বনেতাদের সমন্বয়ে ডব্লিওএইচএও কর্তৃক একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আহ্বানের পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তৃতীয়ত, জাতীয় পর্যায়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে জোরদার করার প্রশ্নে একটি বিশেষজ্ঞ ওয়ার্কিং গ্রুপ ডেকে নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চতুর্থত, বৈশ্বিক দক্ষিণে বাংলাদেশের মতো নির্দিষ্ট কিছু দেশে মেধাস্বত্ব অধিকার এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত যথাযথ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ফলপ্রসূ উপায়ে ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান ড. মোমেন।
পরিশেষে, মহামারী থেকে উত্তরণে আরও ভালো, পরিবেশবান্ধব ও জোরদার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র ক্ষতির মধ্যে বিদ্যমান বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে ড. মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে সব দেশের জন্য সাশ্রয়ী করতে ‘বৈশ্বিক গণপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত ও সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন উৎপাদনে অবদান রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।