দেশে করোনার পিল অনুমোদন, দাম ৫০ টাকা
দেশে করোনার পিল অনুমোদন, দাম ৫০ টাকা
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে অ্যান্টিভাইরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ ট্যাবলেট ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ও এসকেএফকে মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনুমোদনের তালিকায় আছে আরও আটটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, এ ওষুধ করোনার বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম। পাশাপাশি, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সক্ষমতা মলনুপিরাভিরের রয়েছে।
ওষুধের প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা বলেন, রাজধানীর ১৫০টি ফার্মেসিতে গত রাতে (সোমবার) আমরা এ ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে আজ পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দেখে বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ পাঠানো হবে। যে সব এলাকার মানুষ এখন বেশি করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, সেই সব এলাকায় এ ওষুধ পাঠানো হবে।
সকালে বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, মহামারীর শুরুতে আমাদের প্রথম জেনেরিক রেমডিসিভির উৎপাদনের পর এবার করোনার চিকিৎসায় বিশ্বের প্রথম ওরাল অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণ চালু করা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের চিকিৎসা সহজলভ্য করতে বেক্সিমকো ফার্মার দ্রুত সাড়া দেওয়ার সামর্থ্যের আরেকটি উদাহরণ এটি।
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের কোম্পানির জন্য একটি বড় অর্জন। আমরা বিশ্বাস করি, মহামারী মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে যেখানে টিকার সরবরাহ সীমিত।
পিল প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, মলনুপিরাভির মানবদেহের প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টির মাধ্যমে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি প্রায় স্থবির করে দেয়। আর এর ফলে কমতে থাকে করোনারোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও এ রোগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত তিনটি মেডিকেল ট্রায়াল পার করেছে মলনুপিরাভির। প্রতিটি ট্রায়ালেই রোগীদের শারীরিক অবস্থার লক্ষ্যণীয় উন্নতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।