অন্যের কর্নিয়ায় সাড়ে ৩ হাজার চোখে আলো
বাংলাদেশে বর্তমানে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ
জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ (২ নভেম্বর)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘রক্তে রক্তে বন্ধন হোক, রক্তে লাগুক ঢেউ, আমার চোখে দেখবে ধরা, নতুন করে কেউ’।
নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের চোখের ওপর কালচে গোলাকার স্বচ্ছ ও প্রতিস্থাপনযোগ্য পর্দাকে কর্নিয়া বলা হয়। এ কর্নিয়া সংক্রমিত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়ে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য কারও কর্নিয়া নিয়ে তা প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এর মধ্যে কর্নিয়াজনিত সমস্যায় ৫ লাখের বেশি মানুষ দৃষ্টিহীন।
বাংলাদেশে চক্ষুদানের মাধ্যমে কর্নিয়া সংযোজনের কাজটি করে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি। এর বাইরে দু-একটি বেসরকারি হাসপাতাল বিদেশ থেকে কর্নিয়া এনে সংযোজন করে থাকে।
সন্ধানী ১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১০৪টি কর্নিয়া সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৯টি কর্নিয়া অন্যের চোখে বসানো হয়েছে।
প্রত্যেকের কর্নিয়া নেওয়ার সময় রক্তও পরীক্ষা করা হয়। যদি অন্য কোনো অসুখ থাকে, তাহলে সেই কর্নিয়া নেওয়া হয় না। যারা কর্নিয়া দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সরাসরি দাতা ১২২ জন এবং হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর স্বজনদের কাউন্সেলিং করে ১৭৯ জনের কাছ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়।
বাকি সব বেওয়ারিশ লাশের কর্নিয়া। মারা যাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে এবং ময়নাতদন্তের আগে কর্নিয়া সংগ্রহ করতে হয়।