ফেসবুকে কিডনি কেনাবেচা, রাজধানীতে গ্রেফতার ৫
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে কিডনি কেনা-বেচা চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে কিডনি কেনা-বেচা চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, চক্রটি প্রায় ১০ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোগী ও দাতার তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছেন। তারা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে কিডনি ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ সম্পন্ন করে। একটি গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করে যাদের কিডনি প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগী খুঁজে বের করে। এরপর রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে সম্পর্ক স্থাপন করে।
দ্বিতীয় গ্রুপটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ খুঁজে বের করে। তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি বিক্রির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে।
তৃতীয় দলটি প্রলোভনের শিকার কিডনিদাতাদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর সঙ্গে রক্তের নমুনা মেলানোসহ বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার কাজ করে।
র্যাব জানায়, গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট ও রাজধানীর নর্দ্দা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের খোঁজ পায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব।’
এর ধারাবাহিকতায় র্যাব-২, র্যাব-৫ ও র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে জয়পুরহাট ও ঢাকার নর্দ্দা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- মো. শাহরিয়ার ইমরান আহম্মেদ (৩৬), মো. মেহেদী হাসান (২৪), মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), মো. আব্দুল মান্নান (৪৫) এবং মো. তাজুল ইসলাম (৩৮)।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের থেকে ৪টি পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র, ৫টি মোবাইল ফোন ও দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।