মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান
মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ছাড়া সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
রোববার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
বায়োফার্মা লিমিটেড, জেনারেল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড, রেনাটা লিমিটেড ও আজমত গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পৃষ্ঠপোষতায় বীকন পয়েন্ট লিমিটেড এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসিক রোগ নিয়ে এদেশের মানুষের মধ্যে অনেক অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক রোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রদান খুবই জরুরি।
একইসঙ্গে ঝাড়ফুঁক বা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিহারে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে বলে জানান তিনি।
ডা. মুরাদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট’। সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বাস্তবায়নে এটি একটি মাইলফলক।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর ডা. মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল আলী মিয়া বলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৬ ভাগ ও শিশু কিশোরদের শতকরা ১৮ ভাগ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে।