‘প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা থাকা উচিত।
শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কিনা’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথন অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, গ্রাম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম ও ভ্যাকসিন প্রদান চালিয়ে যাওয়া উচিত। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এছাড়া এর আওতায় থাকবে ১২-১৮ বছরের বয়সীরাও।
তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা করা উচিত। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রেখে একাডেমিক কোর্সের মেয়াদ ও সিলেবাস কমানো যেতে পারে। তবে অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে।
এতে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বেই দুই ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হতো। তা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ঝুকির মুখে পড়তে পারে।
করোনায় সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পক্ষ থেকে ৮ দফা সুপারিশ তুলে হয়-
১. স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া
২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখা
৩. জরুরি প্রয়োজনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন কক্ষসহ অক্সিমিটার ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা রাখা
৪. শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা করা
৫. পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ কমিয়ে ১০ মাসে সমাপ্ত করা
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ভ্যাকসিন প্রদান করা
৭. করোনা আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে বহন করা
৮. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা