বিশ্ব প্রবীণ দিবস সামনে রেখে ৩টি গবেষণার ফল প্রকাশ বিএসএমএমইউ’র

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-09-30 20:55:32
বিশ্ব প্রবীণ দিবস সামনে রেখে ৩টি গবেষণার ফল প্রকাশ বিএসএমএমইউ’র

বিশ্ব প্রবীণ দিবস সামনে রেখে ৩টি গবেষণার ফল প্রকাশ বিএসএমএমইউ’র

শুক্রবার বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) তিনটি গবেষণার ফলাফল করেছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্বদ্যিালয়ের ডা. মিল্টন হলে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ এ ফলাফল প্রকাশ করে।

গবেষণাগুলো হলো- ‘বাংলাদেশে প্রবীণদের অপুষ্টির কারণ’, ‘গ্রামাঞ্চলের প্রবীণদের বাত ব্যথার ব্যাপকতা’ এবং ‘নিরাময় অযোগ্য রোগীদের জন্য হোম বেসড প্যালিয়েটিভ কেয়ার: বাংলাদেশে সম্ভাবনা’।

গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী বিএসএমএমইউ’র বর্তমান প্রশাসন গবেষণা কার্যক্রমকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে এবং আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা কর্মকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে।

অত্যন্ত সময়োপযোগী তিনটি গবেষণা কর্ম সম্পন্ন করার জন্য পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

বাংলাদেশে প্রবীণদের অপুষ্টির কারণ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়, সারা বিশ্বেই অনান্যদের তুলনায় প্রবীণদের বয়স মধ্যে অপুষ্টি বা পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা আনুমানিক দেড় কোটি। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালে সংখ্যাটি সাড়ে তিন কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

মোট ১২৫ জন প্রবীণকে নিয়ে এই গবেষণাটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ প্রবীণ অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং অর্ধেকেরও বেশি পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। পুরুষের (২২ শতাংশ) তুলনায় নারীদের (২৮ দশমিক ৮ শতাংশ) মধ্যে অপুষ্টির হার বেশি।

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রবীণদের বাত-ব্যথার ব্যাপকতা সম্পর্কিত গবেষণায় বলা হয়, প্রবীণদের জন্য বাত ব্যথা একটি অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবীণদের বেলায় এর ব্যাপকতা বিষয় তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। প্রবীণদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাত ব্যথার ব্যাপকতা নির্ণয়ের পাশাপাশি যথোপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।

‘নিরাময় অযোগ্য রোগীদের জন্য হোম বেসড প্যালিয়েটিভ কেয়ার: বাংলাদেশে সম্ভাবনা’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়, নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগী এবং তার পরিবারের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আত্মিক সেবা প্রদানের একটি সার্বিক প্রচেষ্টা ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ বা প্রশমন সেবা।

এতে বলা হয়, এটি গুরুতর বা নিরাময় অযোগ্য অসুস্থ রোগীদের জন্যে এক ধরনের বিশেষ সেবা। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ছয় লাখ নিরাময় অযোগ্য বা দীর্ঘ মেয়াদী নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন।


আরও দেখুন: