এখনো প্রান্তিকে অপ্রতুল হৃদরোগের চিকিৎসা
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস।
আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস। হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘হৃদয় দিয়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন’।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাদ্যভ্যাস, অসচেতনতাসহ নানা কারণে শুধু বড়দের নয়, শিশু-কিশোররাও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গত কয়েক বছরে হৃদরোগের চিকিৎসা বাড়লেও তা শুধুই শহরকেন্দ্রিক। প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো হৃদরোগের চিকিৎসা অপ্রতুল। হৃদরোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসাসেবার খরচ বেশি হওয়ায় চিকিৎসার বাইরে থাকছে অসংখ্য রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছর অসংক্রামক রোগে সোয়া লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ সংখ্যা মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ। মৃতদের ৩৬ শতাংশই হৃদরোগী। সে হিসাবে অসংক্রামক রোগে বছরে যত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে হৃদরোগজনিত কারণে।
এমনকি দেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন। একইভাবে বিশ্বে প্রতি বছর হৃদরোগে অন্তত ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ মারা যায়। হৃদরোগে মৃত্যুর ৮০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বিশ্বে ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ পৃথিবীজুড়ে মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে শীর্ষে। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত।
ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবার ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ ছাড়া কারও পক্ষে হৃদরোগের ব্যাপারে ঝুঁকিমুক্ত থাকা কঠিন। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে সবাইকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।