প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে চলছে বিশেষ টিকাদান
ইপিআই কর্মসূচির অধীনে অন্যান্য দিনের নিয়মিত ৫ লাখ টিকাও দেয়া হচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত কেন্দ্রে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে।
২৫ বছরের বেশি বয়সী যারা আগেই টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকেই ৭৫ লাখ মানুষকে এদিন টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এর পাশাপাশি ইপিআই কর্মসূচির অধীনে অন্যান্য দিনের নিয়মিত ৫ লাখ টিকাও দেয়া হচ্ছে। টিকাদান উপলক্ষে নিবন্ধনকারীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়া হয়েছে। টিকা নেয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড সাথে আনতে হবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে করোনার টিকাদান শুরু হলেও সরবরাহ সংকটে মাঝে এ কর্মসূচি থমকে যায়। পর নতুন চালান এলে টিকাদানেও গতি আসে। সে সময় ৭ আগস্ট থেকে ছয় দিনের গণটিকা কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূটির প্রথম দিনই টিকা পেয়েছিলেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। দেশে এক দিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার চেষ্টা আগে হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, শেষ টিকা দেয়ার পরও তাদের কর্মীরা এক ঘণ্টা কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। স্থানীয়ভাবে টিকাদানের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ঘণ্টা চল্লিশোর্ধ জনগোষ্ঠী, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আমরা বিশেষ বিবেচনায় রাখব। তবে স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই কর্মসূচির আওতায় টিকা দেয়া হবে না।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা এর আগেও ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করেছিলাম। এবারো ২৮ তারিখে এ ক্যাম্পেইন চলবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। সেজন্য এদিন ক্যাম্পেইন শুরু করছি।’