পর্যটন খাতেই ৪০ লাখ কর্মসংস্থান: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
২০১৯ সালে দেশের জাতীয় আয়ে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৯৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা
দেশের পর্যটন খাতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটর ভবনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে আয়োজিত বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে দেশের জাতীয় আয়ে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৯৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। ভবিষ্যতে এটি ৬ শতাংশে পরিণত হবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত লাইভ কুকিং শো এবং ঘোড়ার গাড়ির র্যালির উদ্বোধন করেন। পর্যটন ভবনের নিচ তলায় তৈরি অস্থায়ী কুড়ে ঘরে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করেন এনএইচটিটিআই এর ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বিভাগের প্রধান জাহেদা বেগম।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ইউএনডব্লিউটিও-এর এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধিতে পর্যটন’ আসলে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনকেই প্রতিফলিত করছে।
বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে মো. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ পর্যটন পণ্য। সমগ্র দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় এলাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কাজ সমাপ্তির পর প্রতিবছরে এতে বাড়তি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
তিনি বলেন, মহামারিতে পর্যটন শিল্পের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠতে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত অংশীজনদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদসহ অনেকে।