করোনা উপসর্গ নিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে মানিকগঞ্জে সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
সুবর্ণা মানিকগঞ্জ শহরের বেউছা এলাকার বশির উদ্দিন মোল্লার মেয়ে। সে মানিকগঞ্জ শহরের সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ফার্স্ট গার্ল ছিল।
এ নিয়ে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে মানিকগঞ্জে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। তার সহপাঠীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বিষয়টি আমাদের সার্বক্ষণিক তদারকিতে আছে।’
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কাজী এ কে এম রাসেল ডক্টর টিভিকে বলেন, ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবরটি লোকমুখে শুনেছি। যতটুকু জানি, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মুন্নু জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরজু খানম বলেন, ‘মেয়েটি ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ স্কুলে এসেছিল। তখন তার শরীরে কোনো সমস্যা ছিল না। মেয়েটি মেধাবী ছিল। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের সবাই শোকাহত।’
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ থাকায় ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিদ্যালয়ের আসা বন্ধ করে দেয় সুবর্ণা ইসলাম। গত তিন ধরে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়।
শনিবার দুপুর থেকে তার শ্বাসকষ্টে গলা ও বুক ব্যথা বেড়ে গেলে, জেলা সদরের মুন্নু জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
মুন্নু জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মেয়েটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় তার ফুসফুসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও খুব কম ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা বিশেষায়িত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে লাশ দাফন করা হয়েছে। তবে তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।