অজানা জ্বরে ৪ শিশুর মৃত্যু, পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক

অনলাইন ডেস্ক
2021-09-15 19:09:05
অজানা জ্বরে ৪ শিশুর মৃত্যু, পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক

অজানা জ্বরে ৪ শিশুর মৃত্যু, পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক

সাধারণ খিঁচুনি নিয়ে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বরে। প্যারাসিটামলে নামছে না এ জ্বর। পেট ব্যথা বা পেট খারাপও হচ্ছে। করোনার উপসর্গের সঙ্গে মিল থাকলেও, করোনা বা ডেঙ্গুও নয়।

উত্তরবঙ্গে এ জ্বরে এখন পর্যন্ত চার শিশু মৃত্যু হয়েছে। একজন কোচবিহারের ও তিনজন জলপাইগুড়ির। এর মধ্যে তিন মাসের শিশুও রয়েছে। খবর: ডয়চে ভেলে।

অজানা এই জ্বর নিয়ে উত্তরবঙ্গের চার জেলা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ারে ৫৩৩ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শত শত বাচ্চা আসছে। কলকাতা মেডিকেল কলেজেও বেশ কিছু বাচ্চা জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে।

মঙ্গলবারও সাতজন ভর্তি হয়েছে। কলকাতার আশপাশের জেলাগুলোতেও এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

রাজ্যে এই জ্বর ছড়াতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও মেডিসিন, জনস্বাস্থ্য, ভাইরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আছেন।

রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজয় বিশ্বাস বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে জ্বরের খবর আসছে। তাই এই জ্বর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা বিশেষজ্ঞ কমিটি দেখবেন। তারপর তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জ্বরের কারণ জানতে আক্রান্তদের নানা ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরই এই জ্বরের কারণ বোঝা যাবে।’

বিশেষজ্ঞের মতে, রেসপিরেটরি সেনসিটায়াল ভাইরাসে (আরএসভি) আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শিশুরা এই ভাইরাসের মোকবিলা করতে পারে না। তাছাড়া বেশ কিছু শিশু ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হচ্ছে।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দিলীপ সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘ভাইরাস থেকেই এই জ্বর হচ্ছে। তবে কোন ভাইরাস তা এখনো জানা যায়নি। প্রচুর বাচ্চা এতে আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে তা কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে এসেছে। তবে দুই জায়গাতে ভাইরাস একই কিনা, তা বলতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এই জ্বর থেকে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হচ্ছে। সেজন্যই এটা মারাত্মক।’

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অরুণ সিং আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘করোনাকালে অন্য রোগগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। তাই জ্বরের অন্য কারণগুলোকে উপেক্ষা করা যাবে না। তাছাড়া লকডাউনে ঘরবন্দি থাকায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গেছে।’


আরও দেখুন: