রামেকের হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসক ও শয্যা সংকট

মো. রায়হান ইসলাম রনি
2021-09-11 18:25:13
রামেকের হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসক ও শয্যা সংকট

রামেকের হেমাটোলজি বিভাগের একটি চিত্র

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসকসহ শয্যা শংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ বিভাগে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা দিতে ১০ শয্যা থাকলেও প্রতিনিয়ত এখানে ভর্তি থাকে ১৮-২০ রোগী।

সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নিতে আসেন ক্যান্সার রোগীরা। রামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নামের তালিকায় দেখা যায়, চার বছর ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে ছয় মাস ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ক্যান্সার ওয়ার্ডের বড় সমস্যা হচ্ছে- এখানে রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যা এবং জায়গাও অনেক কম। ফলে রোগীদের মেঝেতে বা আশপাশের ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।

ক্যান্সার আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায়, একই বাথরুম অন্য রোগীদের সাথে ব্যবহার করাতে, তাদের নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শংকা থাকে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলেন, আমরা রোগীদের চিকিৎসা পুরোপুরি দিতে পারলেও, সেবা দিতে পারি না। কারণ, একজন রোগী বাড়িতে অসুস্থ হলে তাকে সবচাইতে ভালো জায়গায় রাখে তাদের স্বজনরা। কিন্তু তাদের যখন রামেকে স্থানান্তরিত করা হয়, তখন আমরা তাদেরকে জায়গা স্বল্পতার কারণে অনেক সময় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হয়।

এতে রোগীদের যেমন চিকিৎসা সেবা পেতে কষ্ট হয়, তেমনি চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতেও পড়তে হয় নানা রকম অসুবিধায়। বিশেষ করে মেঝেতে বসে রোগীকে ক্যানোলা দিতে ডাক্তারদের জন্য অনেক কষ্টদায়ক বলে জানান চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, আমরা যদি রোগীদের পুরোপুরি সেবা দিতে পারতাম তাহলে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের দেশের বাইরে যেতে হতো না।

হেমাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম মুর্শেদ জামান এ বিষয়ে বলেন, হেমাটোলজি বিভাগের শয্যা সংখ্যার বিপরিতে রোগী বেড়ে যাওয়ায়, যেমন শয্যা সংকট রয়েছে ঠিক তেমন চিকিৎসকও সংকট রয়েছে। এরপরও আমরা রোগীদের কাংখিত সেবা দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

করোনাকালে হেমাটোলজি বিভাগে ক্যান্সার রোগীদের চাপের বিষয়ে ডা. এম মুর্শেদ বলেন, লকডাউনের সময় দূরের রোগীরা আসতে না পারলেও শহর এবং আশেপাশের রোগীরা আসতেন চিকিৎসা সেবা নিতে। আউটডোরে প্রতিদিনই প্রায় চিকিৎসা নিতে আসেন এ বিভাগের রোগিরা। যাদের বেশি সমস্যা দেখা দেয় তাদেরকে ওয়ার্ডে স্থানান্তিরত করাতো।

রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানীর বলেন, অতিদ্রুত এই সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে আউটডোরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের আয়োতন বৃদ্ধি করছি। নির্দিষ্ট বাজেটে পুরা হাসপাতালটি পরিচালনা করতে হয়, এ কারণে আমাদের ইচ্ছা থাকলেও সবকিছু তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হয় না।


আরও দেখুন: