রামেকে চালু হলো শিশুদের বিশেষ ইউনিট

মো রায়হান ইসলাম রনি
2021-09-11 11:47:51
রামেকে চালু হলো শিশুদের বিশেষ ইউনিট

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশুদের জন্য বিশেষ ইউনিট চালু হয়েছে।

আধুনিক শয্যা, যন্ত্রপাতি- সবকিছু দুই বছর পড়ে থাকার পর অবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশুদের জন্য বিশেষ ইউনিট চালু হয়েছে।

১ থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশুদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নিওনেটাল ইউনিট (স্ক্যানু) করতে এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও শয্যা দিয়েছিল ইউনিসেফ।

প্রথমে ইউনিটটির জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডটিতে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ না থাকায় এবং পরে করোনা মহামারি সামাল দিতে গিয়ে এতদিন শিশুদের স্ক্যানু চালু করা যায়নি। অবশেষে গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ইউনিটটি চালু করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী ডক্টর টিভিকে বলেন, ‘স্ক্যানু ইউনিটটা আমরা চালু করে ফেলেছি। নবজাতক শিশুদের জন্য সেখানে ৪০টি বিশেষ শয্যা আছে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্সও আছেন। কোন সমস্যা আপাতত হচ্ছে না।’

শিশুদের স্ক্যানু ওয়ার্ড করতে ২০১৯ সালে এই ৪০টি আধুনিক শয্যা এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে ইউনিসেফ। স্ক্যানু ইউনিটে মূলত প্রি-ম্যাচিউরড শিশুসহ ১ থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশুদের জীবন রক্ষার চিকিৎসা চলে।

অপরিপক্ক, কম ওজনসহ নানাবিধ জটিল সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ২৮ দিন বয়স হওয়া পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতদিন শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছিল।

হাসপাতাল পরিচালক বিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, শয্যা ও যন্ত্রপাতি পাবার পর দুবছর আগেই ওয়ার্ড প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছিল। তখন বিদ্যুতের সমস্যায় চালু করা যায়নি। কারণ ওই ওয়ার্ডে প্রচুর ভোল্টেজ প্রয়োজন। তখন এতো ভোল্টেজ ওয়ার্ডটিতে ছিল না। তাই পরবর্তীতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে এক হাজার কেভির একটি নতুন লাইন করা হয়। এরই মধ্যে করোনা মহামারি শুরু হলে ওয়ার্ডটি আর চালু করা সম্ভব হয়নি।

করোনা পরিস্থিতি সামলাতে স্ক্যানুর জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডটিতে করোনা রোগীও রাখা হয়েছিল।

রামেকে করোনা রোগীর চাপ কমে যাওয়ায় স্ক্যানু ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হলো।

রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. বেলাল হোসেন ডক্টর টিভিকে বলেন, স্ক্যানু ইউনিটে প্রতিটি শয্যার জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যার মতোই খরচ পড়ে। সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক। ইউনিটটি চালু হওয়ায় রামেক হাসপাতালে নবজাতক শিশু মৃত্যুহার আরও কমে আসবে।


আরও দেখুন: