রামেকে ২ বছরেও চালু হয়নি নবজাতক ইউনিট
রামেকে দু’বছরেও চালু হয়নি নবজাতক ইউনিট
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০১৯ সালে স্পেশাল কেয়ার নিওনেটাল ইউনিট (স্ক্যানো) করতে সব ধরনের যন্ত্রপাতিসহ ৪০টি শয্যাও দিয়েছিল জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। কিন্তু দুই বছর কেটে গেলেও এখনো চালু হয়নি বিশেষ এ নবজাতক ইউনিট।
ফলে আধুনিক শয্যা এবং সব ধরনের যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে রামেক হাসপাতালে। এ কারণে রাজশাহীসহ ১৬ জেলার নবজাতক শিশুরা আধুনিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রথমে বিদ্যুৎ না থাকা এবং পরে করোনা মহামারী সামাল দিতে গিয়ে শিশুদের স্ক্যানো করা যায়নি বলে দাবি করছেন রামেক কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, শিশুদের স্ক্যানো ওয়ার্ড করতে ২০১৯ সালে ৪০টি আধুনিক শয্যা এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে ইউনিসেফ। স্ক্যানো ইউনিটে মূলত প্রি-ম্যাচিউরড শিশুসহ ১ থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য চিকিৎসা চলে।
‘অপরিপক্ব, কম ওজনসহ নানাবিধ জটিল সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ২৮ দিন বয়স হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।’
রামেক অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, ‘সবকিছু সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার পরও এটি দুই বছর ধরে পড়ে আছে। যন্ত্রপাতি ও শয্যাগুলোর দামও অনেক বেশি এবং আধুনিক। এই ইউনিটে প্রতিটি শয্যার জন্য নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যার মতোই খরচ পড়ে।
রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. বেলাল হোসেন বলেন, স্ক্যানো তৈরির কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। শুধু বিদ্যুতের কারণে এটি চালু হয়নি। এখন শিশু ওয়ার্ডে আমাদের শয্যা আছে সাধারণ। স্ক্যানো ওয়ার্ড হলে শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া যাবে।
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, এই ওয়ার্ডের জন্য প্রচুর ভোল্টেজ দরকার হয়। কিন্তু তখন এত পরিমান বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ব্যবস্থা ছিল না রামেকে। তাই ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে এক হাজার কেভির একটি নতুন লাইন করা হয়েছে।
হাসপাতাল পরিচালক আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ওয়ার্ডটিকে করোনা ইউনিট করা হয়েছিলো। এখন করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ওয়ার্ডটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে আবার দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্ক্যানো চালু করা হবে।