পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কী করবেন?
অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। প্রয়োজনে বাসায় ঘরের কাজকর্ম করতে হবে।
পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয়, তাহলে দেখতে হবে রোগীর বয়স কত, তার ডায়াবেটিস আছে কিনা এবং তার ওজন উচ্চতা অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা।
মাসিক কতটা অনিয়মিত সেটা খেয়াল করতে হবে। এটা সময়ের আগে হচ্ছে নাকি সময়ের পরে হচ্ছে। এটা কি হঠাৎ করে হলো নাকি ধীরে ধীরে হলো। ধীরে ধীরে হওয়ার মানে হচ্ছে- আস্তে আস্তে অনিয়মিত হতে হতে বন্ধ হয়ে গেল। একমাস হলো না, পরেরবার দুই মাসে গিয়ে হচ্ছে। তার পরে তিন মাসে গিয়ে হচ্ছে। এই জিনিসটা খেয়াল করতে হবে।
এরপর দেখতে হবে শারীরিক পরিশ্রম করছে কিনা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের বংশে ডায়াবেটিস থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ওজন কম থাকলেও তাদের ইনসুলিন ভালো কাজ করে না। তাই অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। প্রয়োজনে বাসায় ঘরের কাজকর্ম করতে হবে।
স্কুলগামী মেয়েদের ক্ষেত্রে বলছি, স্কুলে আমরা যে ধরনের পিটিগুলো করতাম, সেসব পিটিগুলো ১৫ মিনিট করে হলেও ৩০ মিনিট এ ধরনের পিটিগুলো বাসায় করতে হবে এই করোনা পরিস্থিতিতে।
হঠাৎ করে যদি বছরে একবার মাসিক অনিয়মিত হয়, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ নরমালি বছরে ১ থেকে ২টা সাইকেল অনিয়মিত হতে পারে। যে নিয়মগুলো বলেছি সেগুলো ঠিকমতো পালন করার পরও যদি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হরমোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় টেস্ট করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।