খুলনায় ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, হাসপাতাল সিলগালা
আরাফাত হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসা পরিচালনার অভিযোগে খুলনা জেলার রূপসার আরাফাত হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. কামরুজ্জামানকে এক বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও তার আরও দুই সহযোগীকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে রূপসা উপজেলার নৈহাটি এলাকায় অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানটিতে র্যাব-৬ এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব মাহমুদ পাশা।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব মাহমুদ পাশা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কামরুজ্জামান নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিলেও অভিযানের সময় তিনি রেজিস্ট্রেশন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাবরিনা রহমান স্নিগ্ধা বলেন, ‘‘কামরুজ্জামান নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসাসেবা ও সিজার অপারেশন করতেন। পরে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় সে কোনো ডাক্তার না।”
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আলিফ মাহমুদ পাশা ও খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. সাবরিনা রহমানের সমন্বয়ে র্যাব-৬ এর একটি দল রূপসা উপজেলার নৈহাটী মোড়স্থ আরাফাত হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়।
এ সময় হাসপাতালে থাকা দুইজন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে আভিযানিক দল চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার মাধ্যমে অর্থ বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ পান।
এছাড়া হসপিটালটিতে বিভিন্ন চিকিৎসকের নামের তালিকা সম্বলিত সাইনবোর্ড থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো চিকিৎসকই কখনো আসেন না বলে অভিযোগ করেন অনকে। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে হসপিটালের পরিচালক ও ভূয়া চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামানকে ১ বছর ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তাকে সহযোগিতা করার অপরাধে স্থানীয় করাতকল ব্যবসায়ী আলম মোড়লকে ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।