নাইট ডিউটির পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ছাত্রাবাস থেকে চৌধুরী আরেফিন নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাক্তার মিলন ছাত্রাবাসের ২০৭ নম্বর কক্ষ থেকে এই ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় সাত অ্যাম্পল ঘুমের ইনজেকশন এবং বেশকিছু সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে ডিউটি শেষে সকালে ছাত্রাবাসের ২০৭ নম্বর কক্ষে এসে দরজা আটকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আরেফিন।

এরপর থেকে রুমের দরজা না খোলায় এবং কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় তারা বিছানায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, কোনো সমস্যার কারণে অতিরিক্ত ঘুমের ইনজেকশন নেওয়ায় তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে তদন্তের পরই কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌধুরী আরেফিনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।