‘রোগী বাড়েনি, ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সরকার সফল’

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-08-11 17:21:16
‘রোগী বাড়েনি, ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সরকার সফল’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়েনি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করলে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় আমরা সফল।’

আজ বুধবার সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের জুলাইতে প্রায় ৪০ হাজারের মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল। এবার জুলাইতে ১৫-২০ হাজার হয়েছে। এ মুহূর্তে ভিয়েতনামে ৩৭ হাজার, ফিলিপাইনে ৩১ হাজার, মালয়েশিয়ায় ১৫ হাজার ও সিঙ্গাপুরে সাড়ে ৩ হাজার ডেঙ্গু রোগী রয়েছে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০৫ জন। তবে আমার কাছে যে তথ্য-উপাত্ত তাতে ১ হাজার ১৭৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। অথচ গত বছর সিঙ্গাপুরে ৩৪ হাজার, ফিলিপাইনে ২ লাখ ২৫ হাজার, মালয়েশিয়ায় ৪৫ হাজার, ভারতে ৭০ হাজার, ফ্রান্সে ২৮ হাজার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছি। আপনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করলে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সফল দেশ। আমরা কাজ করছি, আমাদের মেয়ররা কাজ করছেন। কাউন্সিলররা কাজ করছেন। তারা সবাই মাঠে রয়েছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের এখানে এ বছর ডেঙ্গু বাড়েনি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। আপনি কী সারা পৃথিবীর অবস্থা দেখবেন না?’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানুয়ারি থেকে টিভিসি চালাইছি। প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা খরচ করে পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। ফুলের টবে পানি রাখলে সেখানে সামান্য কেরোসিন দিতে বলেছি। ছাদে পানি রাখলে ১০ হাজার বর্গফুটে ২৫০ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দেন, তাহলে লার্ভা মরে যায়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও কিছু ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দু-একটি মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছে। একজন সাংবাদিকের সন্তান মারা গেছে, এটা আমাকেও ব্যথিত করে। পৃথিবীতে এক থেকে ৪০০ মিলিয়ন লোক প্রতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকায় অনেক বেশি। আমাদের জন্য এবং গোটা পৃথিবীর জন্যই এটি চ্যালেঞ্জ। আমরা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পুরো বছরে কাজ করছি।’

সভায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও দেখুন: