আগস্ট মাসে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।

নাজমুল ইসলাম বলেন, আগস্ট মাসের গত তিন দিনে ৭৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার একটি প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষাকাল এলেই আমরা দেখি ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রূপ নেয়। গত ২০১৯ সালেও আমরা দেখেছি ডেঙ্গু মহামারী আমাদের কীভাবে আক্রান্ত করেছে। ২০২১ সালে এসেও একই রকম একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। তবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এটি মোকাবিলা করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবারই করণীয় আছে। প্রত্যেকেরই নিজের বাসগৃহে ফুলের টবসহ বাসার ভেতরে ও বাইরে জমে থাকা পানি অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখতে হবে।

তিনি বলেন, তিন দিনের বেশি সময় যদি কেউ বাসার বাইরে অবস্থান করেন তাবে বাথরুমের কমোড, প্যান ইত্যাদি ঢেকে রাখতে হবে। পানির পাত্র পরিষ্কার করে উল্টো করে রাখতে হবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সবাইকেই শরীর ঢেকে রাখে এমন কাপড় পরিধান করতে হবে।

শরীরে জ্বর আসলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার আহ্বান জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, এই পরিস্থিতিতে শরীরে জ্বর আসলেই কেবল করোনা মনে করতে হবে তা নয়। এর সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষাটিও করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে এই এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা পয়সায় পরীক্ষা করা হচ্ছে।