চীনের সঙ্গে ক্রয় চুক্তির আওতায় সিনোফার্মের ৩০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম কার্গ বিমান রাত ১০টায় এরপর রাত ১টা ও রাত ৩টায় আসে আরও ২০ লাখ ডোজ। টিকা ফ্রিজআপ কার্গোতে করে টঙ্গীর চেরাগ আলীতে বেক্সিমকো ফার্মার স্টোরেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ১১ লাখ ডোজ উপহারসহ এ নিয়ে ৮১ লাখ চীনা টিকা এখন বাংলাদেশের হাতে।

চীনের সঙ্গে চুক্তির ৩ কোটি ডোজের বাকি চালানও পর্যায়ক্রমে চলে আসবে বলে জানান ডা. শামসুল হক।

তিনি আরও জানান, আমরা এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার থেকে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি। ফাইজার থেকে ১ লাখ ৬ হাজার। মর্ডানার থেকে প্রায় ৪৫ লাখ। চীন থেকে আগে পেয়েছি ৫১ লাখ আজ (বৃহস্পতিবার) এলো ৩০ লাখ।

কোভিড টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ পেতে আর সমস্যা হবে না জানিয়ে ইপিআইয়ের ম্যানেজার ডা. মাওলা বক্স জানান, বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে টিকা সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ৬৯৮টি স্টোরেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর তা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন প্রায় এক কোটি ৩৬ লাখ মানুষ। বুধবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৪২২ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ জন। দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে।